আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীনের সেনাবাহিনী সশস্ত্র টহল এবং আকাশ ও স্থলে যৌথ মহড়া পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার চীনের সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধির খবরের মধ্যে এ পদক্ষেপ নিল চীন।
চীনের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, এ টহল মূলত রুইলি, ঝেনকাং এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিচালিত হবে। মিয়ানমারের কাচিন ও শান রাজ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে চীনের দিকে কামানের গোলা পড়ে কিছু লোক আহত ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সাউদার্ন থিয়েটার আর্মি ইউনিটগুলোকে দ্রুত সরানো, বাধা প্রদান ও আক্রমণের সক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
চীনের সেনাবাহিনীর একটি আলাদা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৭-২৯ আগস্ট চীন-মিয়ানমার সীমান্তের চীনা অংশে সশস্ত্র মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। রুইলির দক্ষিণ, ঝেনকাং কাউন্টি এবং পশ্চিম ইউনান প্রদেশের জেংমা দাই ও ভা স্বায়ত্তশাসিত কাউন্টির আশপাশের এলাকাতে এই মহড়া পরিচালিত হবে।
চীন বলেছে, এই সংঘাত চীন-মিয়ানমার সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও সামাজিক শৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সম্প্রতি বলেছেন, মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য চীন নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে। খবর রয়টার্সের।