বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলী উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ শ্বশুরবাড়ির পাশের খেতে পড়ে ছিল। স্বজনদের অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামের জাকির আকন (৪৮)। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের জাকির আকনের সঙ্গে পুজাখোলা গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর মেয়ে সোনিয়ার চার বছর আগে বিয়ে হয়। সোনিয়া তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। গত সোমবার জাকির তাঁর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
জাকিরের স্ত্রী সোনিয়া বেগমের দাবি, তাঁর স্বামী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন। এরপর কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না। আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের (সোনিয়ার) বাড়ির পাশে বীজখেতে স্থানীয় লোকজন জাকিরকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁর বাবা আনোয়ার ব্যাপারী জামাতাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান খান জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে জাকির আকনের ছেলে রাকিব আকন বলেন, ‘আমার বাবা গতকাল রাতে ফোন করে বলে, “আমাকে তুই এসে নিয়ে যা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে।” এর পর থেকে বাবার ফোন বন্ধ পাই। আজ সকালে জানতে পারি, আমার বাবার লাশ হাসপাতালে। আমার বাবাকে আমার সৎমা ও তাঁর বাবার বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ জাকিরের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাকির আকন নামের একজনের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাঁরা এ ঘটনায় তদন্ত করবেন।