নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগির শুরু করা হবে।
বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি আজ সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। তাই সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগির শুরু করা হবে।’
তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে দু’’দেশের মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন ও বীমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার, মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সুইস রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রয়োজনীয় বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ। তিনি এ সময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ ও সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি মানবপাচার প্রতিরোধকল্পে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিসহ কৃষিতে বীমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকদের নিকট গ্রহণযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
রেতো রেংগলি বলেন, পুলিশ সংস্কার ও পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সুইজারল্যান্ড সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন।
বৈঠকে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক কাউন্সেলর আলবার্টো জিওভেনেটিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।