নিজস্ব প্রতিবেদক :
হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলা সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আগামীকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে রুটিন অনুযায়ী পুরোদমে চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের রেসিডেন্ট চিকিৎসক আব্দুল আহাদ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ৮টা থেকে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেন তারা। আরে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবা চালু রয়েছে।
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ বলেছিলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন এবং সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারী চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ইমার্জেন্সি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এবং দেশদ্রোহী দালাল সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করতে এই হামলা চালাচ্ছে। তাই আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। দ্রুত দেশের সব হাসপাতালে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা না হলে ষড়যন্ত্রকারীদের আঘাত আবারও আসতে পারে।’
দাবি নিয়ে সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। এক দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ও স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে হবে।’
কর্মসূচি নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে জরুরি বিভাগের সেবা চালু রেখেছি। আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে আউটডোর সেবা চালু থাকবে। সকাল ৮টা ১০টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। সকাল ১০টা থেকে থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোর সেবা চালু থাকবে।’


















