জাফর আলম, কক্সবাজার থেকে :
মিয়ানমারের রাখাইন দখল নিতে আরাকান আর্মি দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছেন।সে সঙ্গে এ লড়াইয়ে আরও কিছু বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। আরাকান আর্মি গত ৬ মাস যুদ্ধে রাখাইনের অধিকাংশ অঞ্চল ও দেশটির সেনা ও বিজিপি’র ক্যাম্প, চৌকি দখলের পরে মংডু শহর দখল নিতে এখন তীব্র হামলা চালাচ্ছেন।অপরদিকে সরকারি বাহিনীও মংডু শহর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পাল্টা হামলা অব্যহত রেখেছে।এ সংঘাতের জেরে মংডু সহ আশপাশের গ্রামে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রাণ হানি ঘটছে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা নৌকা করে নাফনদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।
এসব রোহিঙ্গাদের সহায়তায় করছে দালাল চক্র।এই দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।মিয়ানমারের বুচিডং এলাকার বৃদ্ধ হাকিম আলী (৫০) জানেন না তার স্ত্রী, ৫ ছেলে ও ২ কন্যার খবর। টানা চেষ্টার পর গত ৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমার থেকে ট্রলারযোগে নাফ নদীর সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় নিয়েছেন টেকনাফের নয়াপাড়ার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। একটি দালাল চক্রের হাতে মিয়ানমারের মুদ্রা ৫ লাখ কিয়ান দেওয়ার পর তাকে মিয়ানমারের প্যারাংপুরু এলাকায় নৌকায় ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়। ওই নৌকায় ওইদিন তার সাথে ১০ জন এসেছেন।
গত রোববার টেকনাফের নয়াপাড়ার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাপকালে এসব তথ্য জানান হাকিম আলী। ওই ক্যাম্পে গত এক সপ্তাহে নতুন করে আসা অন্তত ৩শ রোহিঙ্গা রয়েছে।
হাকিম আলী জানান, মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মির লড়াইয়ে তার বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পর স্ত্রী ও সন্তানদের খবর জানেন না। তিনি মংডুর কাছাকাছি এলে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাকে আটকে রাখে। তাদের ক্যাম্পে নির্যাতন করে নানা বিষয় জিজ্ঞাসা করা হয়। ক্যাম্পে তিনি টানা ৩ মাস ছিলেন। তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর ১০–১২ দিন চেষ্টা করে ক্যাম্পের এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় টেকনাফের এক দালালের সাথে আলাপ করেন। ওই দালালের দেওয়া তথ্য মতে প্যারাংপুরু এলাকায় নাফ নদীর প্যারাবনে অবস্থান নেন। নৌকা নিয়ে দালালরা যাওয়ার পর মিয়ানমারের ৫ লাখ কিয়ান দিলে নৌকায় তুলে এপারে নিয়ে আসে। এরপর লুকিয়ে ক্যাম্পে পৌঁছেন।হাকিম আলীর ৭ ছেলেমেয়ে জীবিত থাকলেও স্ত্রী বোমার আঘাতে মারা গেছেন বলেন শুনেছেন। ওখানে দুই পক্ষের সংঘাতে অনেকে হতাহত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে এদিক–ওদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বেশিরভাগই সীমান্তে জড়ো হয়েছে। এরাও বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চায়।একই ক্যাম্পে আলাপ হয় মংডু শহরের নিকটবর্তী এলাকার বৃদ্ধা রাহানুমা আকতারের (৫২) সাথে। তিনিও ৫ লাখ কিয়ান দেওয়ার পর দালালের সহায়তায় ৪ দিন আগে টেকনাফ পৌঁছেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালে তার ছেলে বাংলাদেশে এসে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল। তিনি স্বামীসহ বাড়িতে থাকলেও সংঘর্ষের সময় তার বাড়ি পুড়ে যায়। স্বামী কোথায় আছেন জানেন না। পালিয়ে ছেলের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ৩শ রোহিঙ্গার মধ্যে ৩০–৩২ জন রোহিঙ্গা স্বীকার করেছেন, মিয়ানমারের সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ কিয়ান দেওয়ার পর দালালরা নৌকায় তুলে তাদের টেকনাফ নিয়ে আসছে।
নয়াপাড়া ২৬ নং ক্যাম্পের ই ব্লকের কমিউনিটি নেতা (মাঝি) নুরুল আলম নতুন রোহিঙ্গা আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা তাদের আত্মীয়স্বজনের শেডে আশ্রয় নিচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো তাদের তালিকা হচ্ছে না বা খোঁজা হচ্ছে না।গত রোববার বিকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নতুন আসা রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহর সাথে কথা হয়। তিনিও স্বপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন এখানে। তারা আসার আগে তার বাবাকে হত্যা করেছে আরাকান আর্মি। তিনি জানান, তার বাবাকে হত্যার পর তারা প্রাণ বাঁচাতে নৌকা নিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। মংডুর উত্তরের একটি গ্রামে তার বাড়ি, সেখানে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। একের পর এক বোমা নিক্ষেপের কারণে এলাকার চিত্র পর্যন্ত পাল্টে যাচ্ছে। প্যারাংপুরাসহ নাফ নদীর পাড়ের বেশ কিছু গ্রামে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় আছে। এর আগে শুক্রবার ভোরে টেকনাফের একটি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের সাথে আলাপ হয়। টেকনাফের একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করা রোহিঙ্গা পরিবারের অনেক সদস্য কান্না করছিলেন। তারা বলেছেন, মংডু শহরের দলিয়াপাড়া ও সুদাপাড়া এলাকা এখন রোহিঙ্গাশূন্য। ওখানে উভয় পক্ষ শক্তিশালী গ্রেনেড, বোমা, মর্টার শেলের পাশাপাশি ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধবিমান থেকেও বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে অনেক মানুষ হতাহত হচ্ছে। প্রাণ রক্ষায় যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে। দালালদের জনপ্রতি বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারা সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এখন ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। ওইসব রোহিঙ্গা বলছেন, লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা সীমান্ত জড়ো হয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন।বাংলাদেশি ১ টাকায় মিয়ানমারের মুদ্রায় ১৭ কিয়ানের বেশি। ওই হিসেব মতে জনপ্রতি ২০–২৫ হাজার টাকায় দালালরা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।
আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ডা. জুবায়ের বলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ক্রাইসিসকে গুরুত্ব না দেওয়ায় আজকের দিনের এই চিত্র দেখতে হচ্ছে। মূলত আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর লড়াই দেখিয়ে রোহিঙ্গা নির্মূল করা হচ্ছে। সে কারণে নিরস্ত্র, নিরীহ রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে এদেশে ছুটে আসছে। এতে সমস্যা আরো জটিল হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বোঝা সহ্য করে যাচ্ছে। নতুন করে রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত না হয় সেজন্য এখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আওয়াজ তুলতে হবে।আরাকান রোহিঙ্গা ইয়ুথ কোয়ালিশনের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে গণহত্যার দ্বিতীয় পর্ব চলছে। এবারের গণহত্যা ২০১৭ সালের চেয়েও ভয়াবহ। যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসতি আছে সেসব এলাকায় আরাকান আর্মি ঘাঁটি করে যুদ্ধ করছে, যাতে করে রোহিঙ্গারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এর মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে তীব্র সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি। একই সঙ্গে জান্তা বাহিনী শেষ পর্যন্ত ওই শহরটির দখল রাখতে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। এর জের ধরে গত সপ্তাহ ধরে আকাশ পথে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তীব্র লড়াইয়ের কারণে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপছে টেকনাফের সীমান্ত এলাকা। এতে টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতংকের মধ্যে অন্তত ৩০ পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের তথ্য মিলেছে। গত এক মাসে এসব পয়েন্ট দিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছে সীমান্তের মানুষ। গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে টেকনাফ সীমান্ত।সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে শুরু হয় এই বিস্ফোরণের শব্দ। মংডু শহরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল যুদ্ধ চলছে। ওই শহরে বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়ান দখলে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী আরকান আর্মির সদস্যরা। ব্যাটালিয়ান দুটি রক্ষা করতে বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মর্টার শেল ও মিসাইল হামলা চালাচ্ছে।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন জানান, আকাশে বিমানের চক্কর, মর্টার শেল ও শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ফোরণে এপারের ঘরবাড়ি কাঁপছে। এতে ঘুমহীন রাত আতংকের মধ্যে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।এই পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্তের ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে দালালদের সহায়তায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়েছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও অনেকে উখিয়া–টেকনাফের বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান নিচ্ছে। বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার জন্য রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন পয়েন্টে লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা জড়ো রয়েছে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারের মিয়ানমারের প্যারাংপুরু নামের এলাকায়।
সীমান্তের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য বলছে, আগস্ট মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ হয়েছে। টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে দিয়ে এসব রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু ও দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় এই অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে।
রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে নাফ নদী অতিক্রম করে অনেুপ্রবেশে দালালের সহযোগিতার কথা স্বীকার করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজির আহমদ জানান, গত কয়েক দিনে কেবল কেরনতলি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অনেক রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি এসব রোহিঙ্গাকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর এসেছে। নতুন করে কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মাইন উদ্দিন বলেন, কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে। ক্যাম্পে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদী থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু–দ্দৌজা বলেন, আগস্ট মাসের ৫ তারিখের আগে–পরে বাংলাদেশের সরকার পতন পরিস্থিতিতে ৮ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বলেছে। এরপরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া গেলেও তার সঠিক পরিসংখ্যা পাওয়া যায়নি।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সীমান্তে বিজিবি কঠোর এবং সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুপ্রবেশের সুনির্দিষ্ট তথ্য বিজিবির কাছে নেই বলে জানান তিনি।