নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাজারে ডিম, ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ বাড়িয়ে এসব নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে চিনি ও ডিমের আমদানি শুল্ক এবং ভোজ্যতেলের আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ১৩ টাকা ৮০ পয়সা কমবে। ডিম আমদানিতে এ অব্যাহতি সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সৈয়দ এ মু’মেন আরও বলেন, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমবে। ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন কনফেকশনারি, বেকারি, ডিম নির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরে আসবে।
এছাড়া পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদক পর্যায়ে আরোপ করা ১৫ শতাংশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপ করা ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল, পরিশোধিত পাম তেলে এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের মূসক ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোজ্যতেলের এ অব্যাহতি সুবিধা মিলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, আমদানি পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর হ্রাস এবং প্রত্যাহার করার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য বাড়লেও দেশে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।
এ মু’মেন বলেন, গত ৮ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রায় ৫০ শতাংশ কমানো সত্ত্বেও বাজারে পরিশোধিত চিনির সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনবিআর এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টনে ৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।