আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মূলত দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি, গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকা ‘দখলে’ নিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে অন্তত ২৫০টির বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২৪ বছর ধরে সিরিয়ায় ক্ষমতায় ছিল বাশার আল আসাদ। বিদ্রোহীদের আক্রমণে গত রোববার তিনি পালিয়ে রাশিয়াতে আশ্রয় নিয়েছেন।
অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানায়, সিরিয়ার ভূখণ্ডে ২৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বাশার আল-আসাদের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান, ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, উৎপাদন ক্ষেত্র, ওয়্যারহাউস এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
এদিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর আমরা যে আঘাত হেনেছি, তার প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি।’
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলি অনুপ্রবেশকে একটি ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ, পাশাপাশি এটিকে দোহা আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে মনে করে।
সৌদি আরবও ইসরায়েলি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে, ইসরায়েলের এমন আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের ক্রমাগত লঙ্ঘন ও সিরিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।
অন্যদিকে বাগদাদ ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেছে, তেল আবিব আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা