বুধবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

চুয়াডাঙ্গায় গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস

প্রতিবেদক
Newsdesk
এপ্রিল ২৩, ২০২৫ ৫:০৬ অপরাহ্ণ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :

গত দুদিন যাবত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ জেলার জনপদ। রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরমে কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা অস্থির হয়ে পড়ছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।

এর আগে গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে আগামী ৪-৫ দিন জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আরও ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী দুদিন তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।

অপরদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ এক শরবত বিক্রেতা বলেন, গরমে শরবতের চাহিদা বেড়েছে। তবে লোকজন খুবই সীমিত চলাচল করছে।

একজন ইজিবাইক চালক বলেন, দুদিন ভ্যাপসা গরম পড়ছে। যাত্রী খুবই কম হচ্ছে আগের তুলনায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

আকাশ নামে একজন ডাব বিক্রেতা বলেন, গরমে প্রচুর পরিমাণ ডাবের চাহিদা বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হচ্ছে। এক পিস ডাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবুও চাহিদা রয়েছে। যত গরম পড়বে তত চাহিদা বাড়বে।

 

 

সর্বশেষ - জেলার খবর