আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পারমাণবিক দুই শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমেই সংঘাত বাড়ছে। এমন অবস্থা দেশ দুটিকে সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭।
শুক্রবার (৯ মে) জি-৭ দেশগুলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উত্তেজনা দ্রুত হ্রাসের আহবা জানিয়েছে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে সংঘাত রোধ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উভয় পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশীকে সরাসরি সংলাপের আহবান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমরা কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধিসহ ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযম বজায় রাখার আহবান জানাই।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনিও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
একই দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, যে ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই উত্তেজনা কমানোর পদ্ধতিগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
জবাবে জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ‘পরিমিত এবং দায়িত্বশীল’।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা কমানোর আহবান জানিয়েছেন।
রুবিও ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে দুই দেশের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে মার্কিন সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে রুবিও এস জয়শঙ্কর এবং শেহবাজ শরীফের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। তিনি উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যেকোনো সমর্থন বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবাও জানিয়েছেন।