নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার। সহকারী প্রক্টর শারমীন কবিকে কমিটির সদস্য-সচিব এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) কে সাচিবিক দায়িত্বে রাখা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাম্যর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময়। সহপাঠী রাফি ও আবাবিল আহমেদ বিশাল জানিয়েছেন, মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাম্যর মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্য একটি বাইকের ধাক্কা লাগে। এরপর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় এবং এক যুবক সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তিনি হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন, মাদারীপুর সদরের মো. তামিম হাওলাদার (৩০), পলাশ সরদার (৩০) এবং সম্রাট মল্লিক (২৮)। শাহবাগ থানার ওসি মনসুর রহমান জানিয়েছেন, সাম্যর এক বন্ধু তাদের শনাক্ত করেছেন এবং অন্তত দুইজন ঘটনার সময় ছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক হাসান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।