মঙ্গলবার , ২৪ জুন ২০২৫ | ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

লালমনিরহাটে ‘মব সন্ত্রাস’ করে সংখ্যালঘু বাবা-ছেলেকে হেনস্তা নিয়ে উদ্বেগ

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২৪, ২০২৫ ১০:০৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লালমনিরহাটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক বাবা ও তাঁর ছেলেকে ‘মব’ সন্ত্রাসের মাধ্যমে হেনস্তা করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের তিনটি মানবাধিকার সংগঠন—বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং নারীপক্ষ। আজ মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে এই তিন সংগঠন ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং রাষ্ট্রীয় নজরদারির অভাবে দেশে মব ভায়োলেন্স ও সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো ঘটনা বারবার ঘটছে। অথচ এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পর্যাপ্ত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ তারা জানিয়েছে, লালমনিরহাটের সাম্প্রতিক এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা রোধে সরকারের পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মনোযোগ কামনা করেছে সংগঠনটি।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের বিবৃতিতে ধর্মীয় অনুভূতি বা অবমাননার অভিযোগকে ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ বলে উল্লেখ করে বলেছে, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ তদন্তে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা অত্যন্ত জরুরি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে হেয় করা, নিপীড়ন করা বা সহিংসতার শিকার করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’ আসক বলেছে, ‘‘মব সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুধু সামাজিক সম্প্রীতির জন্য নয়, আইনের শাসনের জন্যও এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

নারীপক্ষ তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘‘ধর্ম অবমাননার অজুহাতে দেশজুড়ে ক্রমাগত মব সহিংসতা, অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, হতাশ ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’’ তারা বলেছে, ‘‘এই ধরনের সহিংসতা বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করতে হবে এবং যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’’

এই তিনটি সংগঠনই মনে করে, ধর্মীয় স্পর্শকাতর ইস্যুকে কেন্দ্র করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নাগরিক নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইসাথে তারা আহ্বান জানিয়েছে, ধর্ম বা অন্য কোনো ইস্যুতে অভিযোগ উঠলে সেটি যেন কেবল আইনানুগ পথে নিষ্পত্তি হয় এবং রাষ্ট্র যেন প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক ও সক্রিয় থাকে।

সর্বশেষ - জেলার খবর

আপনার জন্য নির্বাচিত