নিজস্ব প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি জানিয়েছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে।
আরও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে অংশীজনদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হবে। শুরুতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এবং পরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হবে।
এছাড়াও সংসদীয় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে শেষ দিনের শুনানি চলছে ইসিতে।
এর আগে, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গত রোববার রোডম্যাপের বিস্তারিত ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে চার কমিশনার ও সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।
এদিন শুনানিতে শুধু সাঁথিয়াকে নিয়ে পাবনা-১ আসন গঠনের দাবি জানান এলাকার জামায়াত সমর্থিতরা। জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিবুর রহমান মোমেন ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে বেড়া ও সুজানগর মিলে আরেকটি আসন করার কথাও বলেন। তবে ইসির প্রকাশিত খসড়া সীমানা অনুযায়ী সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একটি অংশ ইসির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানার দাবি ও আপত্তি শেষ দিনের শুনানি শুরু হয় সকাল ১০টায়। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিরাজগঞ্জ-২ ও ৬ আসনের বাসিন্দারা ২০০১ সালের মতো সংসদীয় আসন পুনর্বহাল চেয়েছে শুনানিতে। এছাড়া কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বাসিন্দারা ২০১৪ সাল অনুযায়ী চিলমারী উপজেলার রানিগঞ্জ, থানাহাট, রমনা ও চিলমারী ইউনিয়নকে কুড়িগ্রাম ৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার আবেদন জানান। দাবি-আবেদন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য গত ৩০ জুলাই সীমানার খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া গত ২৪ আগস্ট থেকে সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি শুনানি শুরু হয়, যা ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এরইমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকায় দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জন। ইসি জানিয়েছে, খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে এবং এর উপর আপত্তি জানাতে পারবেন ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা ২০ অক্টোবর প্রকাশিত হবে।