সোমবার , ৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

চলতি বছরেই আসতে পারে ক্যান্সারের টিকা

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ৬, ২০২৫ ৬:২৪ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ক্যান্সার, এক মরণব্যাধি রোগের নাম। কথায় বলে ক্যান্সারে হলে রক্ষা নেই। কিন্তু বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিরলস পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের কারণে এখন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হতে শুরু করেছে মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে ক্যান্সারের টিকা।

কিছুদিন আগেই রাশিয়ার রাশিয়া দাবি করে যে, তারা এই মারাত্মক রোগের টিকা তৈরি করেছে, যা দেশটির সব নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। এবার আমেরিকার বিজ্ঞানীরাও একই দাবি সামনে এনেছেন। বলছেন, ক্যান্সারের টিকা তৈরিতে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পেতে শুরু করেছেন তারা।

দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যান্সারের টিকা মূলত ইমিউন সিস্টেম বা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে টিউমার চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার নানা ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফলাফল দেখাচ্ছে, যা আশার আলো দেখাচ্ছে।

ক্যানসারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় করার ধারণা নতুন নয়। ১৯শ শতকের শেষভাগে নিউইয়র্কের সার্জন উইলিয়াম কোলি আবিষ্কার করেন, কিছু ব্যাকরেটিয়া ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এক হাজার রোগীর উপর গবেষণায় এর প্রমাণও পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ক্যান্সার টিকার গবেষণা নতুন ধাপে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীরা টিউমারের জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে নির্ধারণ করছেন, কোন মিউটেশন ইমিউন সিস্টেমকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় করতে পারে। আরএনএ ব্যবহার করে শরীরের কোষকে ক্যান্সারের নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর ফলে ইমিউন সিস্টেম ক্যানসারের কোষগুলোকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

দুই মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না এবং মার্কের তৈরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক এমআরএনএ ক্যান্সার টিকা সম্প্রতি ত্বকের ক্যান্সার রোগীদের ওপর সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক টিকা হচ্ছে, নির্দিষ্ট একজনের জন্য তৈরি করা টিকা। এক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ ও পর্যায় বিবেচনা করে টিকা তৈরি হয়।

পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, এই টিকা ক্যান্সার পুনরাবৃত্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে এনেছে। এছাড়া, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। গবেষকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে কেমোথেরাপি ও অস্ত্রোপচার চিকিৎসার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে ক্যান্সারের টিকা।

এমআরএনএ বা মেসেঞ্জার-আরএনএ টিকা সংক্রামক এজেন্টের নির্দিষ্ট অংশ যেমন এর প্রোটিন, চিনি বা আবরণ ব্যবহার করে। এই টিকা কোষকে একটি প্রোটিন বা এমনকি একটি প্রোটিনের টুকরো তৈরি করার জন্য বার্তা দেয়, যা ভাইরাসের মতোই দেখতে। প্রোটিন তখন আমাদের দেহের অভ্যন্তরে একটি প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করে; যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।

তবে, এই পথে নানা চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক টিকা তৈরি এখনো বেশ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। ‘অফ-দ্য-শেল্ফ’ টিকা উন্নয়নের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, ক্যান্সার টিকা নিয়ে ২০২৫ সাল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর।

 

সর্বশেষ - জাতীয়