নিজস্ব প্রতিবেদক :
জুলাই আন্দোলনের শহীদ রাজধানী মিরপুরের মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে আসামি হিসেবে নাম এসেছে অভিনেতা ইরেশ যাকের এর। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার খবর সামনে আসতেই শোবিজ অঙ্গনে প্রতিবাদের ঝড়।
কথা বলছেন ছোট পর্দা, বড় পর্দা থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা। বিশেষ করে যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা কোনোভাবেই ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে ‘হত্যা মামলা’র ঘটানাটি মেনে নিতে পারছেন না।
অনেকেই বলছেন অভিনেতা ইরেশ যাকের নিজেও জুলাই আন্দোলনে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। রাস্তায় নেমেও আন্দোলন করেছেন। এই অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারকাদের মধ্যে জুলাই আন্দোলনের সবচেয়ে সক্রিয় তারকা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
শুরুতেই হতাশা প্রকাশ করে বাঁধন লিখেন,“আমি জীবনের এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে আমি আর সবকিছুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাই না। তবে কখনো কখনো নীরবতা যেন বিশ্বাসঘাতকতার মতো অনুভূত হয়। ইরেশ যাকের সবসময় সত্যের পাশে ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন।”
এরপর বাঁধন বলেন,“৪ আগস্ট, যখন কারফিউ ঘোষণা করা হয়, আমরা একসঙ্গে শাহবাগে ছিলাম। সব রকমের বিপদের মাঝেও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে আমি যেন নিরাপদে কালশি ফ্লাইওভারে পৌঁছাতে পারি — এক অনিশ্চিত সময়ে তিনি ভয়ানক ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সেদিন রাতেই আমাদের গণভবনে যাওয়ার জন্য প্রচণ্ড চাপ ছিল। কিন্তু ইরেশ যাকের তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন— তিনি সত্যের পাশে, ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি।”
ইরেশের নামে হত্যা মামলার বিষয়ে এই অভিনেত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“আজ তাকে (ইরেশ) হয়রানির শিকার হতে দেখে মন ভেঙে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয় — আমরা আগেও দেখেছি যারা সত্যের পক্ষে দাঁড়ায় তাদের কীভাবে নিপীড়িত হতে হয়। তবুও, এটা এখনও গভীরভাবে কষ্টদায়ক ও হতাশাজনক, বিশেষ করে এই সময়ে, যখন আমরা ভেবেছিলাম আমরা একটি নিরাপদ ও ভালো দেশ গড়ে তুলছি।”
সবশেষে বাঁধন বলেন,“যারা সত্যের পাশে দাঁড়ায়, তাদের রক্ষা করা উচিত — নিপীড়ন নয়। আমরা ইরেশের পাশে আছি। আমরা তাদের পাশেও আছি, যারা এখনও আশাকে ছাড়েনি।”