বিনোদন ডেস্ক :
বলিউডের কুইন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত নানা কারণে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। কিন্তু এবার পড়েছেন আইনি জটিলতায়। এক বেফাঁস মন্তব্যের জেরে আইনি বিপাকে জড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। যার ফলে তাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় পাঞ্জাবের এক আদালতে হাজিরা দিতে হবে কঙ্গনাকে।
জানা গেছে, ২০২০-২১ সালে দিল্লিতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। তাতে অংশ নেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকেরা। সেই আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্য ঘিরে সে সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই মন্তব্যের জেরেই মানহানির মামলা করা হয়েছিল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের কাছে সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার আবেদনও করেছিলেন কঙ্গনা নিজেই। কিন্তু শুক্রবার (১ আগস্ট) সেই আবেদন নাকোচ করে দেয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কঙ্গনার বিরুদ্ধে ওঠা নির্দিষ্ট এই অভিযোগগুলো খণ্ডন করা যাবে না। কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা জেলার বাহাদুরগড় জনদিয়ানের ৭৩ বছর বয়সি বাসিন্দা মহিন্দর কৌর। তাকে নিয়ে মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ।
সেই সময় কঙ্গনা মহিন্দরের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, তিনি নাকি শাহিনবাগের বিলকিস বানো। এমনকি, কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, কৌরের মতো মানুষকে ১০০ টাকার বিনিময়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নিয়ে আসা যায়।
২০২২ সালের ঘটনা এটি। কঙ্গনার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয় তাকে। এরপরেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে পাঞ্জাবের স্থানীয় আদালতে কঙ্গনাকে হাজিরা দিতেই হবে এবার।
প্রসঙ্গত, বিতর্কে থাকা কঙ্গনার প্রায় অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি কয়েকটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেছেন, তিনি যেমন ভেবেছিলেন তেমনভাবে রাজনীতি উপভোগ করতে পারছেন না।