নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে ভারত নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে- উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষের যে সম্প্রীতি, তা কোনো অপপ্রচার করে ভাঙা যাবে না।’
আজ বুধবার ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড়ে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আসামসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ধারাবাহিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অথচ হাজার বছর ধরে আমাদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক ও বন্ধন বহমান। আমরা সুখে-দুঃখে সবাই এক সঙ্গে থাকি। আমাদের এ বন্ধনকে অপপ্রচার আর হুমকি দিয়ে ভাঙা যাবে না।’
ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা নাকি চট্টগ্রাম দখলসহ নানা হুমকি দেন। আমরা কোনো দেশ দখল করতে চাই না। আমরা রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা একটি স্বাধীন দেশ, তাই অন্য একটি স্বাধীন দেশের প্রতি সম্ভ্রম, শ্রদ্ধা ও সবার সমান বন্ধুত্ব মনে করি। কিন্তু আপনি যদি দাবি করেন একটা, তখন আমরাও খুঁজে দেখি কিভাবে দাবি করব। আমরা বলছি- আমাদের যে নবাব ছিলেন ওনার রাজত্ব ছিল বাংলা বিহার উড়িষ্যায়, আমরা তখন এটা দাবি করব। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান সেনাপতি ছিলেন মোহনলাল। সেই পলাশির আম্রকানন থেকে হিন্দু মুসলিম আমরা এক সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। আমরা এক সঙ্গে পূজা পার্বনে আনন্দ উপভোগ করি। আমাদের বন্ধন অনেক মজবুত।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এত প্রিয় কেন মোদি ও মমতাদের কাছে? এর কারণ শেখ হাসিনা বিনা পারিশ্রমিকে ও বিনা টাকায় যা ভারতকে দিয়েছে, এটা তো জাতীয়তাবাদী চিন্তার কোনা মানুষ দেবে না। সাতটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিনা টেন্ডারে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মমতা তিস্তাচুক্তি বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না- এ জন্য তো শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেন না। অথচ বিএনপি বা কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে এর প্রতিবাদ করত, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরত।’
রিজভী বলেন, ‘সীমান্ত হত্যাসহ ভারতীয় আগ্রাসন নিয়ে শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেন না। এসব কারণেই শেখ হাসিনা ভারতের কাছে এত প্রিয়।’
এ সময় দেশীয় পণ্য কিনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। একই সঙ্গে দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা কারও প্রতি নির্ভরশীল হব না- এই জাতীয়তাবাদী চিন্তা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’