নিজস্ব প্রতিবেদক :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এই আদেশ দেন। এদিন পুলিশের দেওয়া আবেদন গ্রহণ করে বিচারক গ্রেপ্তার দেখানোর অবেদন মঞ্জুর করেন। অপরদিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী তাঁর জামিন ও ডিভিশনের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানির সময় মির্জা আব্বাস বিচারককে বলেন, ‘এর আগের বার যখন আমাকে ও মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন আমাদের ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল, এবার আমাকে রাখা হচ্ছে ফ্লোরে। এবার তো হেঁটে আসছি। পরের বার হয়তো হুইল চেয়ারে করে আমাকে আদালতে আসতে হবে।’
আজ এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। বিচারক আগামী ৮ নভেম্বর আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির জাহিদুল ইসলাম তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে, মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন।
আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা যায়, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।