নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মালিকানা দাবি করে সম্প্রতি রিপাবলিক টিভি যেসব বক্তব্য প্রচার করছে তা যদি ভারতের বক্তব্য হয়, তাহলে আগামীতে বিহার-উড়িষ্যাসহ বাংলাদেশের নবাব শাসিত এলাকাগুলোর মালিকানা দাবি করে বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার হবে।’
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রিজভী।
রিজভি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলে আধিপত্য কায়েম করতে চায় বলেই শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। এ কারণে দেশটির সঙ্গে তাদের কোনো প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভালো না।’
ভারত যদি তাদের আধিপত্যবাদের আচরণ পরিবর্তন না করে, তাহলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করবে কি না সেটাও ভাবা হবে বলে হুমকি দেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে যে সরকার ছিল, সেটা ছিল ঘৃণিত সরকার। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজ দেশের সন্তানদের হত্যা করেছে। এরা গণতন্ত্রকামী মানুষদের হত্যা করত। সেই পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভোটের প্রয়োজন ছিল না। তার সময়ে যে ভোটগুলো হয়েছে তার এক একটা নাম আছে।’
রিজভী বলেন, ‘আপনারা মনে করছেন পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তরকারিতে আর পেঁয়াজ খাবে না। আপনারা রসুন, আদা, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা রান্নায় এগুলো আর ব্যবহার করতে পারবো না। এটা তো দুঃস্বপ্ন দেখছেন যে এদেরকে আমরা পানিতে, ভাতে, তরকারিতে বঞ্চিত করবো। আপনারা গত ৫/৬ বছর গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন মানুষ কোরবানিতে ১ কোটি ২০ লাখ গবাদি পশুরও ব্যবস্থা করছে, সারা বছর যা দরকার হয় সেটারও ব্যবস্থা করছে। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।’
উপমহাদেশে আধিপত্য কায়েম করতে গিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ, হিংসাত্মক ও অপরকে ঘৃণা করার মনোভাবের কারণে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সহ কেউ ভারতের সঙ্গে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।