মঙ্গলবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

ভোট দিলে জান্নাত, এটি ধর্ম নিয়ে প্রতারণা: রিজভী

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ৬:৫৬ অপরাহ্ণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে—এমন প্রচারণাকে ‘ধর্ম নিয়ে প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘কিছু ভ্রান্ত মানুষ আমাদের সমাজকে ইসলামের নাম করে বিপথে পরিচালিত করতে চাইছে। ধর্মীয় মূল্যবোধকে বিকৃত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই এসব বলা হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কি মধ্যযুগীয় খ্রিষ্টান পাদ্রিদের মতো জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে? তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে—এটা সম্পূর্ণ ধর্মীয় প্রতারণা।

‘এটি ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে। ইসলাম কোনোভাবেই এমন ভণ্ডামিকে সমর্থন করে না। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে ধর্মকে ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘তারা (জামায়াত) কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।’

নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছে, তাদের একটি মাস্টারপ্ল্যান আছে। তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করছে; উদ্দেশ্য জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা।

‘জামায়াত এখনো আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে চায়। তাদের রাজনৈতিক চাতুর্য দেখেই বোঝা যায়, তারা কৌশলে আওয়ামী লীগের ভোট টানার পাঁয়তারা করছে। একদিকে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব), সংস্কার, গণভোট—এসব দিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে; অন্যদিকে ধর্মীয় আবেগে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন ইসলামি ধারার নাম করে বিভ্রান্তিকর মতাদর্শ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। এটিকে “মওদুদীবাদ” বলে চিহ্নিত করা যায়। বাংলাদেশের মানুষ এটা কোনো দিনই গ্রহণ করবে না। আমাদের ইমান, আকিদা ও তাওহিদে বিশ্বাসের জায়গায় এই ধরনের মতাদর্শের কোনো স্থান নেই।

‌‘১৯৭১ সালে যারা ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারাও তো মুসলমান ছিল। কিন্তু একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের ওপর কীভাবে এমন অত্যাচার করতে পারে? যারা এসব অপরাধের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বা করছে, তারা কি ভালো মানুষ? নিজেদের অতীত ভুলে গিয়ে এখন ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো আর ক্ষমতার জন্য যেকোনো পথ নেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।’

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ মাওলানা মো. আলমগীর হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।

 

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত