শুক্রবার , ২৫ জুলাই ২০২৫ | ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

মার্কিন আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে ‘মার্চ টু যমুনা’র হুঁশিয়ারি

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২৫, ২০২৫ ৮:০৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পশ্চিমের তাবেদার রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের নিন্দা জানিয়েছেন আলেম-ওলামারা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বের হয়ে একটি গণমিছিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জৈনপুরী দরবার শরীফের পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মার্কিন আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে প্রয়োজনে আমরা মার্চ টু যমুনা দিতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে আরেকটি বিপ্লব হবে বাংলাদেশে।’

দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ ও দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার ভবনের প্রতিবাদে ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ব্যানারে এই গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করা ইন্টেরিম জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিলো ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত প্রতিরোধ। বাংলাদেশের জনগণ আর কোন রাষ্ট্রের তাবেদার হতে চায় না। অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশকে পরিকল্পিতভাবে মার্কিন বলয়ে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করেন৷ বক্তারা তাদের বিরোধিতার বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেন।

১। এই কার্যালয় বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ইসরাইল এবং ভারত সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। কিন্তু এসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কোন কার্যালয় নেই।

২। যে সব দেশে এই কার্যালয় আছে তারা মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এই কার্যালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।

৩। পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদি আদিবাসী সন্ত্রাসীদেরকে মানবাধিকারের নামে এ কার্যালয় সমর্থন দিবে যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।

৪। এ কার্যালয় সমকামিতা প্রচার ও প্রসারে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত যা এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।

৫। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান কেন্দ্রিক আমেরিকান স্বার্থকে রক্ষা করবে এ কার্যালয়।

মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, আহমদ রফিক, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভীম আসিফ আদনান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদ, আবু ত্বহা আদনান প্রমুখ

 

সর্বশেষ - রাজনীতি