রবিবার , ৩ আগস্ট ২০২৫ | ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

শেখ হাসিনাকে আর রাজনীতি করতে দেব না, শপথ নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৩, ২০২৫ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশকে বিভক্তি করার অনেক চেষ্টা চলছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পাশের দেশ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখানে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে, হুমকি দিচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আর কোনো দিন রাজনীতি করতে দেব না। আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না।’

রবিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্রদল আয়োজিত এক ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তরুণরা আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। বাংলাদেশকে গড়তে আমাদের সামনে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। সারা দেশ থেকে তরুণরা এখানে এসেছেন। এটা অত্যন্ত আনন্দের দিন। একইসঙ্গে কষ্টের দিন। গত বছর এই দিনে দেশের মানুষকে হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলন নয়, গত ১৬ বছর ধরে আমাদের নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়েছে। শুধুমাত্র সুন্দর একটা বসবাসযোগ্য আবাসভূমি হিসেবে বাংলাদেশকে দেখার জন্য।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে আড়ালে আবডালে নাকি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তারা রেহাই পাবে না। নেতা-কর্মীদের ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। তরুণদের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে।’

সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘ভারত শুধু খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেয়নি, বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র করছে।’

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হতেই হবে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা বারবার দাবি করেছি হাসিনার বিচার। হাসিনার বিচার না হলে দেশের মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না। অনতিবিলম্বে হাসিনার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।’

জুলাই আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হলে এর সঙ্গে জড়িত সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

এদিন বেলা সোয়া ৩টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। মঞ্চের এক পাশের ব্যানারে স্থান পায় জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান ও বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে শহিদ হওয়া নেতা-কর্মীদের ছবি।

দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই স্লোগান আর ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জেলা-মহানগরের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে হাজির হন। মৎস্যভবন, শাহবাগ এবং কাঁটাবনের দুই পাশের সড়কসহ আশপাশের এলাকা নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। তাদের কণ্ঠে শোনা যায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্লোগান। সমাবেশকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তি পড়েন সাধারণ জনগণ। তবে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে দেখা গেছে ছাত্রদলের স্বেচ্ছাসেবক টিমকে।

ছত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু ইয়াহিয়া আফসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম প্রমুখ।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত