নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডাকা শিশু হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। তারা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, তাদের হাতে প্রতি নিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে দুর দুরন্ত থেকে আসা রোগীর অভিভাবকরা। এইসব চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে
জাহিদ, নান্নু, ওয়ার্ড বয় মোশারফ, ওয়ার্ড বয় মানিক ও সিকিউরিটি অফিসার মাসুদ রানা।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, কমিশনের টাকার বিনিময়ে এরা মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে দেয়।
এদের নামে আরো গুরুতর অভিযোগ আছে যেমন, শিশু হাসপাতালের সামনে ফুটপথে যত দোকান আছে প্রতিটা দোকান থেকে এরা ৩/৪ শত টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে। কমপক্ষে ২ শত ফুটথের হকার থেকে তারা প্রতিদিন চাদা তুলে ভাগ করে নিচ্ছে আর দোষ দিচ্ছে বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদোর।
এ ছাড়াও এইসব ওয়ার্ড মাষ্টার,ওয়ার্ড বয়,নার্স, আয়া ও সিকিউরিটি গার্ডরা অর্থের বিনিময়ে রোগীদের সিট পাইয়ে দেওয়া ও স্বজনদের রাত্রী যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এদেরকে অতি দ্রুত শাস্তি না দিলে বিএনপির দুর্নাম আরো বেড়ে যাবে।
আসলে এরা বিএনপির নয়, এরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসর।
এদের কাছে ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা জিম্মি হয়ে আছে।
এরা রোগীদেরকে জিম্মি করে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায় এদের বস হচ্ছে ওয়ার্ড মাস্টার জাহিদ এবং বাইরে থেকে আসে পিচ্চি ফারুক।
এই পিচ্চি ফারুক কোন সরকারি হাসপাতালের স্টাফ না। অথচঃ এই পিচ্চি ফারুক বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করছে। ভুক্তভোগীরা এই সব চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও পিচ্চি ফারুককে গ্রেফতার করার জন্য সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ কামনা করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, জনতা ।