নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিগত ১৫ বছর ধরে একজন পিয়ন এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আস্থাভাজন দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাত ধরেই উক্ত কর্মচারি হারুন দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিনের খাবারের অর্থ আত্মসাৎ করছেন নানা কৌশলে। কিন্তু জেনেও না জানার ভাব করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, কর্তৃপক্ষ নিরব নির্বিকার। বিষয়টি জানার পর এলজিইডিতে কর্মরত প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, ক্যান্টিন ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করতে হলে তাকে উচ্চ শিক্ষিত এবং ৬ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ক্যান্টিন এবং রেস্ট হাউজের দায়িত্ব পালন করায় দুর্নীতিবাজ কর্মচারি ক্যান্টিন ম্যানেজার হারুন এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক। খাবারের মান অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঢাকায় এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অথবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দাপ্তরিক কাজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা রাত যাপনের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের ১৪-১৫ তলায় অবস্থিত রেস্ট হাউজে অবস্থান করেন। এ সময় তারে যথাযথ খোঁজখবরও রাখেন না ক্যান্টিন ম্যানেজার হারুন।
অভিযোগ রয়েছে, রেস্ট হাউজের রাজস্বও তিনি আত্মসাৎ করেন। সূত্র জানায়, স্বল্প দামে খাবার ক্রয় করে বেশি দাম দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দীর্ঘদিন আত্মসাৎ করে আসছেন তিনি। ট্রেনিংয়ের খাবার ও রেস্ট হাউজের ৫০ শতাংশ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, আসবাবপত্র কেনাকাটায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কর্মচারি হারুনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ১০ টাকার মালামাল ২০ টাকা দেখিয়ে বিল বানিয়ে সমুদয় অর্থ হারুনের নেতৃত্বে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। এলজিইডির প্রকল্পগুলোর প্রশিক্ষণ চলাকালিন সময় বেচে যাওয়া খাবার চড়া দামে এলজিইডিতে কর্মরত কর্মচারিদের কাছে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। লুটেরা সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাত ধরেই হারুনের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ায় তিনি এখনও আওয়ামী বন্দনায় ব্যস্ত। যে কারণে এলজিইডির খবরাখবর বাইরে পাচার করে এলজিইডিকে অশান্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়। হারুনের ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী সরকারের প্রচারণায় সরব ছিল। যা ৫ আগস্টের পর ডিলিট করা হয়েছে।
তার ঔদ্ধত্যতপূর্ণ আচরণে ক্যান্টিনে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারিরাও অতিষ্ঠ। এমএলএসএস হারুনের নিজ এলাকা কুমিল্লায় বিপুল পরিমাণ ধানি জমি ক্রয় করেছেন। তার কথার বাইরে কেউ জমি ক্রয় করতে পারেন না। ঐ এলাকার সকল ধানি জমি তার বাইরে কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব তথ্য অসত্য ও বানোয়াট। তিনি আরও বলেন, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের আমার কোন সর্ম্পক নেই । একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।