নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানা থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানার ইনচার্জ পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন (৮ অক্টোবর) মকবুল নামের এক বিএনপিকর্মীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার হত্যা মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড চলাকালে সাবেক হোসেন চৌধুরীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তার আইনজীবী অসুস্থ বিবেচনায় জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া খিলগাঁও থানার দুটি হত্যা মামলা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা এবং পল্টন থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তার জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
পল্টন থানার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান ও খিলগাঁও থানার মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবেক হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া খিলগাঁও থানার পৃথক চার মামলা ও পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশের নেতাকর্মীরা যখন ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ থেকে ৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন।
বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এসময় মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।