নিজস্ব প্রতিবেদক :
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা করবো, ইনশাআল্লাহ্। এ দায়িত্ব যখন এসেছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে তা পালন করতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
নব নিযুক্ত সিইসি বলেন, এটা অত্যন্ত গুরু দায়িত্ব। এমন অবস্থায় দায়িত্ব এসেছে প্রত্যাশাও অনেক বেশি থাকবে। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে। আমি সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করব, এটাই অঙ্গিকার।
আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচনে বিশ্বাসী। এটাই আমার মিশন। এটাই আমার ভিশন। এটাই আমার দায়িত্ব এবং এটাই আমার কমিটমেন্ট টু দ্যা নেশন।
সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কিনা জানতে চাইলে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকবেই। আমি আগে সচিব হিসেবে স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। সেখানেও তো চ্যালেঞ্জ ছিলোই। ভবিষ্যতে আরও আসবে। এটা মোকাবেলা করেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরও চার কমিশনার নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
নতুন সিইসি নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের ওপর থাকবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।
অন্য চার কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম-সচিব তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীন একসময় ছিলেন সচিব। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি তাকে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়। এবার তাকে দেওয়া হলো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।
সিইসির শূন্য পদ পূরণ করতে যাওয়া নাসির উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করে তিনি পেশাজীবন শুরু করেন শিক্ষক হিসেবে। পরে বিসিএস ৭৯ ব্যাচে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
নাসির উদ্দীন ২০০৪ সালে তথ্য সচিব, এরপর জ্বালানি সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।