নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৪ বছর পর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মেজর জিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মামলা ও জঙ্গির খাতা থেকে নাম বাদ দিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি।
গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন মেজর জিয়া। এছাড়া মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন তিনি।
আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিয়া নিজে আমাকে মেসেঞ্জারে ফোন করেছে। বলেছেন, যে মামলাগুলো হয়েছে এগুলো সব মিথ্যা। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে। সঙ্গে তার ব্যাপারে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সেটাও প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করেছেন। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন, তার রাজনীতি সম্পর্কিত মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে’।
আইনজীবী আরও জানান, মেজর জিয়া ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। তবে কোন দেশে তা পরিস্কার করেননি তিনি।
পরে অডিও কলে বেসরকারি ওই চ্যানেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হক (মেজর জিয়া) দাবি করেন, ‘ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায়, তাকে সামনে রেখে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় টার্গেট করা হয়েছিল তাকে। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।’
সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক পুলিশের খাতায় একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। কখনো আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনোবা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে তাকে। জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল সেসময়।
‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মেজর জিয়া ব্লগার দীপন, অভিজিৎ, জুলহাস হত্যাসহ ৭টি মামলার আসামি তিনি। যার মধ্যে তিনটি ফাঁসির দণ্ড ঝুলছে তার মাথায়। সেসময় তাকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গত ২৫ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহারে লিখিত আবেদন করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে।