শুক্রবার , ৩০ মে ২০২৫ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

নেত্রকোনায় গণমাধ্যমকর্মীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ৩০, ২০২৫ ৬:১১ অপরাহ্ণ

জাহিদ হাসান, নেত্রকোনা থেকে

মাদকসহ ভারতীয় অবৈধ পণ্য বোঝাই ট্রাকের ভিডিও চিত্র ধারণ করার দায়ে সাংবাদিক ইমরান ফকিরকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি কলমাকান্দা থানায় এসআই পদে কর্মরত আছেন।

ভুক্তভোগী ইমরান ফকির রূপসী বাংলা টেলিভিশনের কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে সন্ধায়) ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মী ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের বরাবরে অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগ দাখিলের পরপরই পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ তদন্ত করতে দুর্গাপুর সার্কেলেকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

অভিযোগ সূত্রে, ভুক্তভোগী পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বার্থে গত ২৮ মে রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্যের একটি চালান রংছাতি-কলমাকান্দা রোডের আজগড়া ব্রিজের কাছে জড়ো করছে এবং এসব পণ্য পুলিশ পাহারায় ডিস্ট্রিক্ট ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন করা হবে।

এ তথ্যের ভিত্তিতে কলমাকান্দা-রংছাতি রোডের কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের আজগরা ব্রিজের কাছে যেয়ে ভুক্তভোগী দেখতে পান সিএনজি এবং মোটরসাইকেলে ভারতীয় মাদকের কার্টুন রাস্তার পাশে জড়ো করছে চোরকারবারিরা। চোরকারবারিরা দেখে ফেলায় ভুক্তভোগী নিজের নিরাপত্তার কারণে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পাপ্পু গেস্ট হাউজের বিপরীত পাশে (কলমাকান্দা পূর্ব বাজার) চা দোকানের পাশে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী।

এরপর রাত প্রায় ৩টার দিকে মাদক পরিবহনের ট্রাকটি সামনে আসা মাত্রই ভুক্তভোগী ভিডিও ধারণ শুরু করেন। ভিডিও ধারণ অবস্থায় মাদক চোরাচালান নিরাপত্তায় নিয়োজিত কলমাকান্দা থানায় এসআই নজরুলসহ একাধিক সদস্য সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও ভিডিও ধারণ করার কারণে পুলিশদল ভুক্তভোগীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে জোর করে টেন-হেচরে সিএনজিতে তুলে অজানা উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।

সিএনজিতে তুলে ভুক্তভোগীকে পুলিশ সদস্যরা মারপিট, অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি ও হত্যা করে গুমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় চোরাচালানি ট্রাকটির ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং মেমোরি কার্ড ও ধারণ করা ভিডিও মোবাইল থেকে মুছে ফেলেন। ভুক্তভোগীর সাথে থাকা আরেকটি বাটন মোবাইল ভেঙে ফেলেন ও অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পুলিশের দলটি। চোলাচালানের গাড়িটি কলমাকান্দা শহর অতিক্রম করার পর পথচারীরা আসা টের পেয়ে ভুক্তভোগীকে উব্ধাখালি ব্রিজের পাশে ফাঁকা জায়গায় ফেলে পুলিশ চলে যায়। ফেলে যাবার সময় পুলিশ সদস্যরা এ ঘটনা প্রকাশ করলে ভুক্তভোগীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী এসব তথ্য তার অভিযোগ পত্রে তোলে ধরেছেন।

নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ অভিযোগ বিষয়ে এ এস পি দুর্গাপুর সার্কেল কে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।

 

 

সর্বশেষ - জেলার খবর