নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনার ঘুটাবাছা-কালমেঘা সড়ক প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় কাজ হস্তান্তরের আগেই ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)-এর কাছে হস্তান্তরের আগেই ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বরগুনার ঘুটাবাছা-কালমেঘা সড়ক নির্মাণের কাজ ঝুলে ছিল দীর্ঘ ১ যুগ। নানান অনিয়ম আর দরকষাকষির কারণে ঝুলেপড়া পড়া নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালে। এই সময়ে সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় অবশেষে এই মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলেও অনিয়ম আর ধীর গতিতে কাজ করার ফলে বর্ধিত মেয়াদেও বরগুনার ঘুটাবাছা-কালমেঘা সড়ক প্রকল্পের শেষ হবে না বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগের পরও প্রশাসন নির্বিকার। স্থানীয়রা বলছেন, কাজ শেষ না হওয়ার আগেই জায়গায় জায়গায় গর্ত দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। কাদামাটি মিশ্রিত নিম্নমানের খোয়া দিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। স্থনীয়রা বলছেন- ওই সরকার ভালো না, এই সরকার ভালো, দেখা গেলো আমাদের জন্য কোন সরকারই ভালো না। প্রভাবশালীদের সাথে প্রশাসনের লোকজন একজোট হয়ে ভাগবাটয়োরা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাগবাটোয়ারার ভাগীদার প্রশাসনের এই কর্মকর্তা হচ্ছেন সমীরন মন্ডল। তিনি বরগুনা জেলার, পাথরঘাটা উপজেলায় এলজিইডি-এর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর অধীনে পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। অর্থলেনদেনে সমীরন মন্ডলের ট্র্যাক রেকর্ড নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বে তিনি পটুয়াখালী তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ে থাকালীন পিডিবি-৪, এনএনজিপিএস ও জিপিএস প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী জেলায় সম্পন্ন হওয়া স্কুলের কাজের প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহের জন্য ঠিকাদাররা গেলে তিনি প্রতি প্রত্যয়নপত্রে ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিতেন। ঠিকাদাররা জানান এটি ছিল তার ঘুসের ‘রেট’।
ঘুসখোর এই সমীরন মন্ডলের অর্থের লেনদেন মিটাতে গিয়েই বরগুনার ঘুটাবাছা-কালমেঘা সড়ক প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন ঠিকাদার।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন নতুন পদ্ধতিতে বালুর সাথে ইটের খোলয়া মেশানোর জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বরগুনা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


















