বৃহস্পতিবার , ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বাংলাবাজার শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক নাজমা পারভীনের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ২, ২০২৫ ৬:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রেড ক্রিসেন্ট থেকে আওয়ামী ভূত যেন তাড়ানোই যাচ্ছে না। রেড ক্রিসেন্ট সদর দপ্তরের সাবেক ইউনিট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক নাজমা পারভীন আওয়ামী আর্দশ ধারণ করে দীর্ঘদিন অনিয়মে ডুবে থেকে বিপুল পরিমাণ অভৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। এখনও একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। শুধু পাল্টে ফেলেছেন ‘আওয়ামী জ্যাকেট’টি।

আর্তমানবতার সেবায় কাজ করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যেন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মানুষের সেবার চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। রেড ক্রিসেন্টের আওতাধীন কয়েকটি হাসপাতালে প্রকাশ্যে চলছে নিয়োগ ও তদ্বিরবাণিজ্য। নাজমা পারভীন এখন শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক। এই হাসপাতালেও তিনি স্বরাজ কায়েম করেছেন। নাজমা পারভীনে চাকরি ছিল চুক্তিভিত্তিক। সোসাইটির নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভিক্তিক চাকরি থেকে নিয়মিত হতে হলে ৩৬ বছর বয়সের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে নাজমা পারভীনের বয়স ৫৫ বছরের উপরে। উলেখ্য, চুক্তিভিত্তিক কোন কর্মকর্তাকে নিয়মিত করতে হলে ওই পদের জন্য সার্কুলারের মাধ্যমে নিয়মিতকরন করতে হবে। আওয়ামী প্রভাবের কল্যাণে নাজমা পারভীনের বেলায় সকল অনিয়মই নিয়মে পরিণত করেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব তার বোন নাজমা পারভীনকে নিয়মিত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। একইভাবে তাকে দেয়া হয় তিনটি ইনক্রিমেন্ট।

রাজধানীর শহীদ মইজুদ্দিন রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে জেঁকে বসেছে অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা। বর্তমানে এ হাসপাতালের পরিচালক নাজমা পারভীন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিময়-দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকে। তার কথার ব্যত্যয় হলেই তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি খেয়ে ফেলবেন বলে হুমকি ধামকি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। ভাই এমপি থাকাকালীন সময় তিনি মাগুরা মহিলা বিষয়ক সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন সেখানে তিনি অনেক দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেংকারি করেছেন, ছিলেন শ্রীপুর মহিলা কলেজের সভাপতি। আর এই মহিলা কলেজের সভাপতি হয়েই তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। নাজমা পারভীনের স্বৈরাচারী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযোগ আছে, তিনি নির্দিষ্ট সময়ে তিনি অফিসে আসেন তো নাই নিয়মিত অফিসও করেন না। বাংলাবাজার শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক কর্মচারিরা বলেন, হাসপাতালে সকল অনিয়মই তিনি নিয়মে পরিনত করেছেন। আর এ সকল অনিয়মের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নাজমা পারভীন জড়িত।

নিয়মকে অনিয়ম করায় সিদ্ধহস্ত নাজমা পারভীন জাতীয় সদর দপ্তর ইউনিট অ্যাফেয়ার্স-এ থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাই এ টি এম আব্দুল ওয়াহাবের প্রভাব খাটিয়ে একাধিকবার অপ্রয়োজনীয় কারণে বিদেশও ভ্রমণ করেছেন। অবৈধভাবে টুপাইস আয়ের জন্য অযথা টুর প্রোগ্রামের আয়োজন করে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন জেলায়। নাজমা পারভীন নিজ দেবর মোহাম্মদ তারিকুল গাজীকে সোসাইটির নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি দিয়েছেন। আরেক ভাগ্নীকে চিটাগাং রেডক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংকে চাকরি দিয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এখানেই তিনি থেমে থাকেনি, নিজ ভাতিজা সাজিদ কামালকে বরিশাল একটি প্রকল্পে চাকরি দিয়েছিলেন সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার পদে । এছাড়াও তাকে ক্ষমতার অপব্যবহার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর বানিয়েছেন নাজমা পারভীন ।

৫ আগস্ট পরবর্তি পরিস্থিতিতে ফ্যাসিস্ট দলের সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযোগে নাজমা পারভীনকে বাংলাবাজার শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে বদলি করা হয়। বদলি করা হলেও নাজমা পারভীনের দুর্নীতি থামানো যায়নি। তিনি ‘ঢেউ গুনে’টাকা কামানোয় ওস্তাদ। এখানেও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি বাংলাবাজারে অর্থ তসরুপের ভয়ানক খেলায় মেতে উঠেছেন তিনি। এ কারণে ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্যবৃন্দ বাংলাবাজার শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পরিদশর্নে যান। পরির্দশন টিমকে ‘হাত’করতে আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ফান্ড থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে ভুরিভোজের আয়োজন করেন নাজমা পারভীন।

২০২৩ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রেড ক্রিসেন্টে অনিয়মের ভূত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ‘নিয়োগ কমিটি ও কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়াই গত ১০ বছরে চট্টগ্রামের জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে অন্তত ৫৩ জন ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন হাসপাতাল পরিচালনাকারী ডা. শেখ শফিউল আজমের মেয়ে, ভাতিজা, গৃহকর্মীসহ আট স্বজন। সাম্প্রতিক তদন্তে নিয়োগ প্রাপ্ত ২৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফাইলে জাল সনদ, বয়স কমিয়ে দেখানোসহ নানা অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর কাজ না করে বেতন তোলার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় এসব চিত্র উঠে আসে।’ প্রতিবেদকের তথ্যে উঠে আসে রেড ক্রিসেন্ট সদর দপ্তরের ইউনিট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক নাজমা পারভীনের ‘আওয়ামীপ্রীতি’র স্বরূপ। তিনি প্রতিবেদককে জানান, , বিষয়টি তদন্তের জন্য উপপরিচালক কবীর ফকির ও নূর শিকদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কবীর ফকির তাকে জানিয়েছেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেবের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন, সেখানকার রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বঙ্গবন্ধুর খুনির আশ্রয়দাতা নয়। তবে তিনি প্রবাসে থাকার সময় তার বাড়িতে খুনি রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন ভাড়া ছিল।’

বাংলাবাজার শহীদ মইজুদ্দিন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক নাজমা পারভীন সম্পর্কে বাংলাবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা জনান, বিগত সময়ে এই হাসপাতালটি তাদের স্বাস্থ্য সেবার ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত হলেও নাজমা পারভীন হাসপাতালটিকে ভূতুরে বানিয়ে রেখেছিলেন।

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

১৫৭ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৪১৮ টহল দল মোতায়েন

পারিশ্রমিকের টাকা চাওয়ায় হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি-যাবজ্জীবন

জাপানে ভূমিকম্পের ৯ দিন পর নিহত বেড়ে ২০২

ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৯

রাজধানীতে ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঠাকুরগাঁওয়ে বয়লার বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ নিহত ৩

বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিলেন সেতুমন্ত্রী

গণভবন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা: দ্রুত জাদুঘরে রূপান্তরের নির্দেশ

ঢাকা শহর নিরাপদ রাখতে দিনরাত কাজ করছে পুলিশ : ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার