নিজস্ব প্রতিবেদক :
রমজানকে সামনে রেখে আবারও বাড়তে শুরু করেছে গরুর মাংসের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। ভোটের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পর তা আবারও ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু এ সপ্তাহে দাম বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, ‘রোজা ও কোরবানিকে সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছেন। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।’
এ ছাড়া শীতের সবজি শিম, মুলা, শালগম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউয়ের দামও প্রায় ১২০ টাকা থেকে কমে ১০০ টাকার নিচে নেমেছে।
যাত্রাবাড়ীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলুর কেজি ৪০ টাকা, টমেটো, গাজর ও শসার কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ও করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
যাত্রাবাড়ীর সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, ‘এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। এ কারণে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। একইসঙ্গে চড়া দামে আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।’
রব মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘অনেকে দামের কারণে গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। মাঝখানে দাম কমানোয় ক্রেতা বেড়েছিল। এখন আবার দাম বাড়া শুরু করেছে। রমজান মাসে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। রমজান শুরু হলে এর দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে।’
এদিকে, বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারে প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।