বৃহস্পতিবার , ১১ আগস্ট ২০২২ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

রুয়েট উপাচার্যের পছন্দের নিয়োগে নম্বরপত্রে কাটাকাটি

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ১১, ২০২২ ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ
রুয়েট উপাচার্যের পছন্দের নিয়োগে নম্বরপত্রে কাটাকাটি

প্রভাষক পদে এক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন মাত্র ৬, যা ইউজিসির কাছে পাস নম্বরই নয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার নম্বর টেম্পারিং (কাটাকাটি) করে কেয়ারটেকারের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুজনকে। আবার অনুমোদনহীন একটি পদে এক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় সপ্তম হলেও তাঁকে মৌখিক পরীক্ষায় অস্বাভাবিক নম্বর দিয়ে প্রথম বানিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনুত্তীর্ণ এক প্রার্থীর ফল টেম্পারিং করে মৌখিক পরীক্ষায় অস্বাভাবিক নম্বর দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপিত পদের দ্বিগুণের বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এমন সব অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট), সদ্য সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখের সময়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক তদন্তে এসব অনিয়ম ধরা পড়েছে। অনিয়ম করে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই তাঁর নিকটাত্মীয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়োগের এসব কার্যক্রম বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। একই সঙ্গে রফিকুল ইসলাম সেখ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে ‘বিধি মোতাবেক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের  বলেন, তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন ইউজিসির চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছেন। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

রুয়েটের সদ্য সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। অভিযোগ উঠেছিল, তিনি দায়িত্বে থাকাকালে স্বজনপ্রীতি করে ভাই, শ্যালক, শ্যালিকাসহ আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ইউজিসি। তদন্ত করতে গিয়ে ইউজিসির কমিটি দেখতে পায় নিয়মের কোনো ধার ধারেননি রুয়েটের তৎকালীন উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। ইচ্ছেমতো পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব বিষয়ে সদ্য সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখের মুঠোফোনে কল করলে রিং হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে কল করলেও বারবারই বন্ধ পাওয়া যায়। আর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সেলিম হোসেন মুঠোফোনে কল রিসিভ করে পরিচয় জানার পর বলেন, তিনি বাসে আছেন, নেমে ফোন করবেন। এরপর অসংখ্যবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ - জাতীয়