নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ৩০০ আসনেই দলটির প্রার্থীরা লড়বেন বলে জানানো হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু একাত্তরকে বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে।
দলটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করছি।’
চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না। ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে। আমরা আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী এককভাবেই নির্বাচন করবো।’
জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাবে না বলেও জানিয়েছেন চুন্নু। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ৩০০ আসনেই আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবো।’
এর আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে লড়ার কথা ইসিকে জানিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
এদিন চুন্নুর বক্তব্যের পর রওশনের সেই কথা আর ধোপে টিকলো না।
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে।
এরপর গণ-আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টি। তবে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে গত প্রায় চার দশক বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এরশাদ কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আসে দলটি।
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ আসন পায় জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছিল।
এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হয়ে জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নেয়।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে বেরিয়ে নিজেদের মতো নির্বাচন করে ২২টি আসন পায় জাতীয় পার্টি।
দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮) সংসদে প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় পার্টি।