নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের বিষয় নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়োগ করে নির্বাচন ‘অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)
এর আগে নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে। পরে নিয়ম অনুযায়ী তা সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের পর যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। সবশেষ বৃহস্পতিবার তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে- এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে কমিটিকে। প্রাপ্ত তথ্য বা কমিটির কাছে দাখিল করা অভিযোগ বা ঘটনা অনুসন্ধান করতে পারবে কমিটি।
‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত অভিযোগ ও ঘটনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো অভিযোগ পেলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পাঠাবেন। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান কমিটি কোনো ব্যক্তিকে তার সামনে হাজির হতে ও সাক্ষ্য প্রদানে এবং প্রয়োজনীয় দলিল বা বস্তু দাখিল করতে দেওয়ানি আদালতের মতো ক্ষমতাবান হবেন। কমিটির কার্যক্রম প্যানেল কোডের ১৯৩ ও ২২৮ ধারায় বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে।
দায়িত্ব পালনের সময় নির্বাচনপূর্ব কোনো অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে কমিটিকে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়নসহ অন্যান্য ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এছাড়া অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা অথবা থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।