নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৯ বছরেও শেষ হয়নি বিচার কাজ। ভয়াবহ হামলায় সেদিন নিহত হন আরও ৪ জন। আহত হন ৭০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ পরবর্তী জনসভা চলছিল। সভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মন্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হুসেন ও সিদ্দিক আলী।
এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। পরপর দুবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করায় মামলার কার্যক্রম বিলম্ব হতে থাকে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নান, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে মুফতি হান্নানসহ ৩ আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি হয়েছে। মারা গেছেন পলাতক আসামি হারিছ চৌধুরী। বাকি আসামিদের মধ্যে জামিনে আছেন ১২ জন। পলাতক রয়েছেন ৬ জন এবং হাজতে আছেন ১০ জন।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সময় চাকরিতে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরে যাওয়া এবং অনেকেই মারা যাওয়াসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষীদের আদালতে না আসা ছাড়াও নানা কারণে এ হত্যা মামলার বিচারকাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি।