নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার বিল দ্বিগুন করা হয়েছে। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে এমনটি হতো না। নির্বাচন বর্জন করায় জনগনের উপর শাস্তি হিসেবে মিটার ভাড়া দ্বিগুন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, নিজের মত করে গণবিরোধী নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এমনিতেই আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সংকট। গোটা দেশকে লুন্ঠনের অভয়ারণ্য বানাতে চায় তারা। ডলার সঙ্কটের কারনে রফতানিতেও ধস নেমেছে।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকার কখনোই জনকল্যাণমুখী হতে পারে না। সরকার অবাধ লুন্ঠনের যে নজির তৈরি করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মানবাধিকার লঙ্গনের যুযোগ দিয়ে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা গড়ে তুলেছে সরকার। তাদের দিয়েই প্রবল জনমতকে দমন করা হয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির ওপর এক ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে আনা হয়েছে। যার কিছুটা নমুনা গতকাল কালো পতাকা মিছিলে দেখা গেছে। ড. আব্দুল মঈন খানের মতো বরেণ্য শিক্ষককে কিভাবে ধাক্কা দিয়ে নাজেহাল করা হয়েছে। তাকে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, দলীয় ক্যাডার,সিন্ডিকেট,সন্ত্রাসীদের ভরনপোষণে রাষ্ট্রের কোষাগার শূণ্য করা হয়েছে। ড. ইউনুসকে নিয়ে দেয়া নোবেল বিজয়ীদের বিবৃতিকে বিজ্ঞাপন বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে তারা।
অপরাধ সাজিয়ে মিথ্যে বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা দেয়া হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সরকারের শর্তে রাজি হলে জামিন মিলে। অন্যথায জামিন দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।