আন্তর্জাতিক ডেস্ক : .
গাজা উপত্যকায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে হামাস ও ইসরায়েল। কয়েক দিন আগে দুপক্ষের মাঝে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। এখন দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল হামলার হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে রাফায় বিপুল সংখ্যক সেনাও জড়ো করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। তবে ইসরায়েল এতকিছু করলেও তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। খবর আলজাজিরার।
হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, রাফা ও গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা লড়াই চালিয়ে যাবে। ইসরায়েলের আগ্রাসন যতই দীর্ঘ হোক না কেন তার ফলাফল শূন্য।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের কোনো অর্জন নেই। যুদ্ধেক্ষেত্রে তারা সেনা হারাচ্ছে। হামাসের ব্যাপক শক্তি রয়েছে, এমনটা দাবি করছি না। তবে আমরা আমাদের জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই চালিয়ে যাব।
আবু ওবেইদা জানান, শতাধিক ইসরায়েলি সামরিক যানে হামলা করেছে হামাস। এদের মধ্যে যুদ্ধট্যাংক, সেনাবাহী গাড়ি ও বুলডোজার রয়েছে। এ ছাড়া টানেল উড়িয়ে, রকেট ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে এবং স্নাইপিং ও সম্মুখ যুদ্ধে বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।