নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর অনেকের নাম বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
হারুন বলেন, আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সবার ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছি। অনেকের নাম বেরিয়ে আসছে। আমরা সেভাবেই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, আনার হত্যার ঘটনায় আটক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাকে এখনও গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মূলহোতা শাহীন নেপাল থেকে দুবাই হয়ে আমেরিকা চলে গেছেন। তাকে ফেরানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশের অ্যাম্বাসির সঙ্গে আমরা কথা বলছি।
এ ছাড়া মামলার তদন্তের জন্য প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকা সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডিবি পুলিশ ভারতে যাবে বলেও জানান হারুন-অর-রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতার যায় এমপি আনার। পরে পরিবারের স্বজনরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোয়েন্দা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এরপর গোয়েন্দারা তদন্তের নেমে এক নারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে প্রায় সাড়ে চার কেজি ওজনের মাংস, হাড় ও চুল উদ্ধার করা হয়।
মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনারের বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বিষয়টি শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শিগগিরই আনারের পরিবার ভারত যাবে বলে জানা গেছে।