নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির ক্যাশিয়ার ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। আবার শেখ রেহানার ক্যশিয়ার ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক মন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনের এ আলাচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। এ সময় দুদকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একজন পিয়নও চারশ’ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আবার এটি নির্লজ্জভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনসমক্ষে বলেছেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, দুদক বিগত সরকারের দাসে পরিণত হয়েছিলো। এখন কেউ দুদকের প্রতি চাপ সৃস্টি করছে না। তিনি বলেন, অন্যায় না করলে রাজনৈতিক চাপ থাকলেও ভালো কাজ করা যায়। এবারের জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণরা রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুদকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সময়ে অন্তর্বতী কোনো কমিশন গঠন করা হলে, এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেবে। বেশি বিলম্ব না করে নতুন কমিশন দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে।
বিশেষ অতিথি ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা দুর্নীতি করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিগত সরকার অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলো। নজিরবিহীনভাবে বারবার বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার কারণেই তরুণরা এর বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিলো। বিগত দিনে কমিশন, কর্মীরা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলো। দুদককে ঢেলে সাজাতে সাড়াশি অভিযান চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুদক কমিশন পদত্যাগ করায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি পরামর্শ দেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ও দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
এর আগে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা এবং দুদকের পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কমিশনের সব মহাপরিচালককে সঙ্গে নিয়ে সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন দুদক দিবস কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে দুদকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।