শনিবার , ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

সরকারের অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতায় দুর্ভোগ বাড়ছে: ফখরুল

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫ ১:৫৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নতুন করে ভ্যাট আরোপে দরিদ্র মানুষের সমস্যা আরও চরম আকারে বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, সরকারের অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতা মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এসময় ফখরুল বলেন, মূল্যস্ফীতির মধ্যে ভ্যাট ও কর আরোপ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে।

তার দাবি, বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ও আইএফএম শর্তের কারণে কর ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংকে তারল্য সঙ্কটে মানুষ টাকা পাচ্ছে না।

সরকারের কর ও ভ্যাট আরোপ জনগণের জন্য কল্যাণকর নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে যাওয়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এতে ব্যবসায়ীক বিনিয়োগ কমা ও রপ্তানিতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও করছেন তিনি।

এমনকি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘আকস্মিক’ মন্তব্য করে এর ফলে সবার মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতিতে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে।

এসময় রাজস্ব সংগ্রহ করতে অন্য দিকে নজর দেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন খাতে ব্যয় কমালে সঙ্কট কমানো সম্ভব।

বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে চলছে হরিলুট চলছে বলেও জানান তিনি।

ফখরুল বলেন, ভয়ঙ্কর মাথাভারী প্রশাসন রয়েছে। যে সব খাতে এখন টাকা দেওয়ার দরকার নাই, সেখানে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রশাসনে যারা রয়েছেন, তারা জানে কীভাবে দুর্নীতি করতে হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের সর্বপ্রথম নজর দেওয়া উচিত খরচ কমানোর দিকে। আমরা মনে করি, সরকার তার উন্নয়ন বাজেট পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় ও আর্থিকভাবে অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিলে প্রায় ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব এবং এতে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সহায়ক হবে।

ফখরুল বলেন, পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার যদি স্থানীয় সরকারের বাজেট এবং ভর্তুকি খাতে খরচ কমায় এবং সার্বিকভাবে পরিচালন ব্যয় ১০ শতাংশ কমাতে পারে, তাহলে ন্যূনতম ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব। তাছাড়া, সরকার কর্তৃক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া ঋণের বাজেট কমিয়ে সাময়িকভাবে ব্যয় সাশ্রয় করতে পারে।

সরকারকে পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারণ পরোক্ষ কর সব শ্রেণীর মানুষকে প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে এবং নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর বোঝা বাড়ায়। প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়েও সরকারি খরচ কমিয়ে এবং চলতি বাজেটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা পুনঃবিন্যাস করেও চলমান আর্থিক সমস্যার সমাধান করা যায়।

সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে তা দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে। বিগত সরকারের লুটপাটের বাজেট থেকে সরে আসা দরকার ছিলো। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিলো তাদের একটা বাজেট দেওয়া।

 

সর্বশেষ - জাতীয়