খুলনা প্রতিনিধি :
যশোরে ব্যবসায়ীকে বুকসমান বালুতে পুঁতে অস্ত্রের মুখে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলার প্রধান আসামি পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) আসাদুজ্জামান জনিকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার রোজ গার্ডেন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আসাদুজ্জামানের সহযোগী তুহিন শেখ (৩৫) নামের একজনকে আটক করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, ‘‘ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীরকে নির্যাতন করে অস্ত্রের মুখে ৪ কোটি টাকা হাতিয়া নেওয়ার মামলায় আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার সঙ্গে থাকা তুহিন শেখ নামের অপর একজনকে আটক করা হয়েছে।”
এর আগে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অভয়নগর থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি করা হয় বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামানকে। এছাড়াও আসাদুজ্জামানের বাবা মো. কামরুজ্জামানও এই মামলায় আসামি।
অন্য আসামিদের হলেন- নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন দপ্তরী (সাময়িক বহিষ্কৃত), সৈকত হোসেন হিরা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর নওয়াপাড়ার জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী আসমা খাতুন ঘটনার সুস্থ বিচার চেয়ে গত ৩১ জুলাই অভয়নগরের রাজঘাট সেনা ক্যাম্পে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের দেন। পরে অভয়নগর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন।
এদিকে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ার পর আসাদুজ্জামান পালিয়ে থাকলেও তার স্বজনরা তাকে নিরপরাধ দাবি করেন। গত ১২ আগস্ট যশোর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জনির বোন মানি জারমিন ইলোরা। তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে। ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপু একজন চিহ্নিত প্রতারক। তিনি জনি ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য তিনি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।’’