শুক্রবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, ডাল-ভাত ৪০০

প্রতিবেদক
Newsdesk
ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ

পর্যটন শহর কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ​ও রেস্টুরেন্টে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ছাড়াও পরিবহনে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ। সাধারণ একটি রেস্টুরেন্টে শুধু ডাল-ভাতের দাম রাখা হচ্ছে ৪০০ টাকা। এক প্লেট ভাত ও আলুভর্তার দাম রাখা হচ্ছে ৩০০ টাকা।

পাশাপাশি শহরের অটোবাইক ও রিকশাচালকরাও দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন। ​এতে হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। তবে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

টানা তিন দিনের ছুটিতে পাঁচ লাখের বেশি পর্যটক এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটন স্পটগুলোতে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি গলাকাটা বাণিজ্যে মেতেছেন। হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট এবং পরিবহনগুলো আদায় করছে ইচ্ছামতো ভাড়া। এই অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

সরেজমিন দেখা গেছে, হোটেল-মোটেলগুলোর রুম ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে। প্রতিটি হোটেলে প্রকাশ্যে এসব ভাড়া আদায় করা হয়। আগে যে রুম ভাড়া এক থেকে দুই হাজার টাকা ছিল, তা এখন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। 

একইভাবে পরিবহন, খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলো পর্যটকদের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা আদায় করছে। বিশেষ করে শহরের কলাতলী মোড় থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত ইজিবাইক ও রিকশা ভাড়া জনপ্রতি পাঁচ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা আদায় করা হয়। যদি কেউ একা যান তাহলে ৩০-৪০ টাকা ভাড়া নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা নিচ্ছেন ১০০-১৫০ টাকা। 

একশ্রেণির ইজিবাইক চালক পর্যটক দেখলেই দ্রুত পাশ কাটিয়ে যান। পরে কৌশলে গাড়িতে তোলেন। ‘অনেক দূরের পথ’ এমন মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ভিন্ন পথে নিয়ে আদায় করছেন অতিরিক্ত ভাড়া।

সুমাইয়া আক্তার ও মহসীন পারভেজ ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন গতকাল বুধবার। এখানে এসে খাবারের সমস্যায় পড়েছেন তারা। সুমাইয়া ও মহসীন জানান, দুপুরে কোরাল রেস্টুরেন্টে এক প্লেট ভাত আর আলুভর্তার দাম রেখেছে ৩০০ টাকা। দুই পিস কোরাল মাছের দাম রেখেছে ৭০০ টাকা।

সর্বশেষ - জাতীয়