আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কালো শোকে ভারত, বিমান দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক মৃত্যুর রেশ না কাটতেই এবার ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার কেদারনাথের কাছে এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে তীর্থস্থান কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশির পথে যাত্রা শুরু করে আরিয়ান এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার। তবে উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিট পরই, গৌরীকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগের মাঝামাঝি বনাঞ্চলে এটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারটিতে পাইলটসহ মোট সাতজন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু তীর্থযাত্রীও ছিল।
স্থানীয়রা, যারা গবাদিপশুর জন্য পশুখাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন, প্রথম দুর্ঘটনাস্থলে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি দেখতে পান। তারাই দুর্ঘটনার খবর কর্তৃপক্ষকে জানান।
উত্তরাখণ্ডের সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (UCADA) জানিয়েছে, নিহত তীর্থযাত্রীরা বিভিন্ন রাজ্য—উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) এবং রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (SDRF)-এর দলগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ মে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলার পর মাত্র ছয় সপ্তাহেই এটি ছিল পঞ্চম হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা।
এর আগে, ৭ জুন কেদারনাথগামী একটি হেলিকপ্টার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে উত্তরাখণ্ডের এক মহাসড়কে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। সেসময় হেলিকপ্টারটি বিপজ্জনকভাবে পার্শ্ববর্তী ভবনের কাছাকাছি চলে যায় এবং লেজের পাখাটি খুলে একটি পার্ক করা গাড়ির ওপর পড়ে। যদিও তীর্থযাত্রীরা নিরাপদে বের হতে পারলেও পাইলট আহত হন।
এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনা হেলিকপ্টার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।