নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের গড়িমসি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আদালত প্রসিকিউশনকে বলেছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে যাদের গাফিলতি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় তাইম হোসেন ইমাম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য ওসি আবুল হাসান ও এসি তানজিল আহমেদকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি)।
প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় দেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই তদন্ত শেষ করতে না পারলে তদন্ত সংস্থাকে জবাব দিতে হবে।
এসময় প্রসিকিউশন আদালতকে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে না। এখন পর্যন্ত ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও, ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসিকিউশনের এমন তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল সরকার ও রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে আইজির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করতে প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, তারা তামাশা করতে বসেনি। তবে প্রসিকিউশন আদালতের ভেতরের কথা বলতে নারাজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল ৪ আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেটে কলেজ ছাত্র নাফিজ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আরো তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে আসামিদের নাম উল্লেখ করেন নি প্রসিকিউশন।
এদিন গত বছরের ১৯ জুলাই কলেজ শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন তাইম হত্যা মামলার দুই আসামির ওসি আবুল হাসান ও এসি তানজীল আহমেদের পরবর্তী শুনানি ৬ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।