নিজস্ব প্রতিবেদক :
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় দেখা গেছে তাকে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে: যার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন?
এ বিষয়ে আজ বুধবার কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতে অবস্থানের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনারা টিভিতে দেখে যা জানেন, আমিও সেভাবেই জানি।
তিনি বলেন: আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছে নাকি অবৈধভাবে গেছে সে সম্পর্কে র্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।
আর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহ আলম বলেন: গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে সেখানে গেছেন, সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।
তাহলে কীভাবে তারা দেশ ছেড়েছেন, জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন: ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই তারা অবৈধ পথে গেছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। তবে অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকেই দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন।