নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে সংগঠনটির কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা । বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভালো কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে তার সমর্থকদের পক্ষে লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, আজিজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পুনর্বাসন করছেন এবং বিরোধী দলের কর্মীদের বিদ্বেষমূলকভাবে পদচ্যুত করছেন।
রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক ও যুব কমিটির এক সদস্য বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম আসার পর থেকেই রেড ক্রিসেন্টে ভালো কর্মকর্তাদের সাইড করে দিয়েছেন (সরিয়ে দিয়েছেন)। ভালো ভালো স্বেচ্ছাসেবকদেরও সাইড করে ফেলেছেন। তার পক্ষের একটা অংশকে প্রাধান্য দিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। বিতর্কিত ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিকেও পরিচালক করেছেন। স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মারতে তেড়ে যাওয়াসহ নানান ধরনের ঘটনা চেয়ারম্যান ঘটিয়েছেন। রেড ক্রিসেন্টের ইতিহাসে এমন চেয়ারম্যান আসেনি।
প্রতিষ্ঠানটির যুব বিভাগের উপ-পরিচালক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘রেড ক্রিসেন্টের বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন শুরু করেছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েই সবার আগে বিএনপিপন্থিদের রেড ক্রিসেন্ট থেকে মাইনাস করেছেন। যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন তাদের সবাইকে হেডকোয়ার্টার থেকে বের করে ঢাকার বাইরে ট্রান্সফার করেছেন। বর্তমানে হেডকোয়ার্টারে থাকা সব ডিরেক্টর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের এসব দুর্নীতি এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের উপ-পরিচালক হিসেবে আমি শুরু থেকেই প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে তার অফিসে নিষিদ্ধ করেন। ভলান্টিয়াররা প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। এটা কখনো কোনো চেয়ারম্যানের আচরণ হতে পারে না।’
এ বিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মব সৃষ্টির মাধ্যমে এক পক্ষের পদ দখলের কালো থাবা এটি।’