সোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

সাবেক সেনা প্রধানসহ ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ৮:৫০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাবেক সেনা প্রধান এস এম শফিউদ্দিনসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আজ সোমবার ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন এই অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর গুম সংক্রান্ত কমিশনের কাছেও অভিযোগ করা হয় বিষয়টি নিয়ে। সাবেক সেনা প্রধান ছাড়া অপর দুই কর্মকর্তা হলেন– ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লে. জে. মো. আকবর হোসেন (অব.) ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মে. জে. মো. সরোয়ার হোসেন (অব.)। এতে আরও ৩–৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সরোয়ার হোসেনের অভিযোগে বলা হয়, তিনি ২০ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করার পরে ২০০৭ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে সুশাসন, ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্বৈরাচারের দোসর, গুম খুনের হোতা, আয়নাঘরের সৃষ্টিকারী এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে, ভিন্নমত দমন করেছে। তিনি যেহেতু গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের জন্য কথা বলেন এবং ফ্যাসিস্ট রেজিমের সমালোচনা করেন, সে জন্য তারা সরোয়ারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ব্যারিস্টার সরোয়ারকে অত্যাচার, ক্রসফায়ার বা গুম করার সুযোগ খুঁজছিল। আকবর হোসেন ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক থাকাকালে ২০১৩ সালের অক্টোবরে তাকে ৯টি মামলায় শোন এরেস্ট দেখায়। একাধারে তাকে ৬ মাস কারান্তরীন রাখে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন একটি লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেওয়ায় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গুম করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর চা খাওয়ার কথা বলে ডিজিএফআই সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে যায়। আসামিরা ছিলেন অত্যন্ত ক্ষমতাশীল। ভিন্নমত অবলম্বনকারীদের ক্রসফায়ার করা, গুম–খুন করা ছিল তাদের নেশা ও পেশা।

এস এম সফিউদ্দিনের বিষয়ে বলা হয়, ভিন্নমতালম্বীদের দমন করে, মানবাধিকার অপরাধ করে সেনাপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সেনাপ্রধান হিসেবে ২০২৪ সালে পাতানো নির্বাচনে সহযোগিতা করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন।

আকবর হোসেনের বিষয়ে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ডিজিএফআই–এ চাকরি করেছেন। অগণিত মানুষকে আয়নাঘরে বন্দী করে রাখেন। অনেক মানুষকে ক্রসফায়ার করেন, যা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।

তিনি ঘৃনিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পাতানো নির্বাচনে সহায়তা করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। তিনি ছিলেন পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর।

মো. সরোয়ার হোসেনের বিষয়ে বলা হয়, ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত নিজেকে জাতীয়তাবাদী ঘরানার লোক বলে পরিচয় দিতেন তিনি। ২০০৯ সালের পর হঠাৎ করে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী হয়ে অতি আওয়ামী লীগ সেজে বসেন।

২০১৫-২০১৬ সালে ডিজিএফআইয়ের পরিচালক থাকাকালীন গুম ও খুনসহ নানাবিধ মানবাধিকার অপরাধ সংঘঠিত করেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন। তিনিও ছিলেন পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর।

ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন অভিযোগে বলেন, আটক অবস্থায় মো. সরোয়ার হোসেন তাকে ভয়ভীতি প্রদান করে এবং বলতে থাকে যে, ১ ও ২ নম্বর আসামি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

তারা বলেছেন, তার মুখ এমনভাবে বন্ধ করা হবে, যাতে আর কোনদিন কথা বলতে না পারে। তারা তাকে আয়নাঘরে প্রেরণ করতে বলেছে বলেও জানান মো. সরোয়ার। ১১ ঘন্টা গুম থাকার পর তাকে ছেড়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। গুমের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।

সর্বশেষ - জাতীয়