নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের ১০ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় দেশের সিটি করপোরেশনগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একইসঙ্গে আর্থিকভাবে শক্তিশালী এবং আইনগত অসঙ্গতি দূর করতে উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।
সোমবার (১১ মার্চ) স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
নাগরিক সেবা দিতে সিটি করপোরেশনগুলোর সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গেলে নানা রকমের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা আসবেই। সে সমস্যাগুলোকে সমাধান করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সিটি করপোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রকার অসহযোগিতা পেলে সব বাধা দূর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় অন্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের তথ্য আগে থেকে জানলে সমন্বয়টা ভালো হয়। সবাই তাদের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাবে যাতে ভোগান্তি সৃষ্টি না হয়, এজন্য সমন্বয়হীনতা দূর করে নির্বিঘ্নে সেবা প্রাপ্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাাফিজার রহমান (মোস্তফা), বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র হাবিবুর আল-আমিন।
সভা শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, আজকের সভায় যে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো সমাধানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলো নিয়ে দ্রুতই কাজ করা হবে।
এদিকে, বিকেলে বেলারুশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বেলারুশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কৃষি ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের নিতে আগ্রহী তার দেশ। আয়তনের তুলনায় বেলারুশের জনসংখ্যা কম থাকায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বেলারুশ থেকে আমদানি করার বিষয়ে প্রস্তাব রাখেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় সাতটি সিটি করপোরেশন ও ৩৭টি জেলার পৌরসভার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য একটি প্রকল্পে বেলারুশের বিনিয়োগ চূড়ান্ত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।