ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের সুতিয়া নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের নিচে লাগেজ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। ওই খণ্ডিত ওই মরদেহ ওমর ফারুক সৌরভ (২৪) নামের এক যুবকের। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে। ইউসুফ ডাক বিভাগের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
রোববার (২ জুন) রাতে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, পরিচয় শনাক্তের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আশা করছি শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রোবহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করতেন। তাদের কেউ গ্রামে থাকেন না। এরমধ্যে সৌরভের বাবা ঢাকায় এবং এক চাচা মো. ইলিয়াস ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন বলে জেনেছি। তারা এলাকায় তেমন একটা আসেনও না। তবে কেন বা কী কারণে ছেলেটা খুন হয়েছে তা এলাকার কেউ জানেন না।
এর আগে, সকালে ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কে মনতলা ব্রিজের নিচে গরু চড়াতে গিয়ে সুতিয়া খালে একটি লাগেজ ও পাশে বিচ্ছিন্ন মস্তক দেখে আঁতকে ওঠেন স্থানীয় কয়েকজন। তাদের চিৎকারে এগিয়ে আসেন আশপাশের লোকজন। ঘটনা মুহূর্তেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে ভিড় করেন শত শত মানুষ।
থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে লাগেজ খুলতেই বেরিয়ে আসে মস্তকবিহীন মরদেহ। খালের পাশেই মাটির ওপর থেকে উদ্ধার করা হয় পলিথিনে মোড়ানো ওই যুবকের মাথা। পলিথিনে মোড়ানো মাথার সঙ্গে ছিল বিছানার চাদর ও রক্তাক্ত বালিশ।