নিজস্ব প্রতিবেদক :
পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আগামীকাল (২১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলা। রোববার মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলের মোট সংখ্যা ৩৫১টি। ইতোমধ্যে প্রায় সবগুলো প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এই স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)।
মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে দেশীয় বক্স, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস শুভস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য।
এবারও মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, উন্নত শিল্প সমৃদ্ধ-সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতির পিতার অবদান ও ভাবনা, দেশের উন্নয়ন ইত্যাদিকে প্রক্ষেপণ করে এবারের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন অধিকতর নান্দনিক, ভাবগাম্ভীর্য ও অর্থপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে।
মেলার সার্বিক নিরাপত্তায় মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। পুলিশ, র্যাব মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।
মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশ গেইট, পার্কিং এরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সকল এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, মেলার প্রবেশ গেটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মেলায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে ফায়ার ব্রিগেড।
মেলায় খাদ্য দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃথক বুথ থাকবে।। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গঠিত টিম মেলা চলাকালীন প্রত্যহ ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি অস্থায়ী সচিবালয়। দর্শনার্থীদের সকল প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য রয়েছে একটি তথ্য কেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকছে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের একাধিক ব্যাংক বুথ। এছাড়া, মেলায় থাকছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের সার্ভিস বুথ। মেলায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়াও, সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড হতে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
মেলার প্রবেশ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা (প্রাপ্ত বয়স্ক) এবং শিশুদের (১২ বছরের নীচে) ক্ষেত্রে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শনপূর্বক বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলার টিকিট অনলাইনেও বিক্রয় করা হবে। বিকাশের মাধ্যমেও ডিসকাউন্টে টিকিট বিক্রি করা হবে।