নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেছেন।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন তিনি।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গণমাধ্যমকে জানান, জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে দেয়া আদালতের দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
যেহেতু শর্ত অনুযায়ী তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন সেক্ষেত্রে তাকে মাহমুদুর রহমানের মতো কারাগারে যেতে হবে না বলেও জানান এ আইনজীবী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-২ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা। এতে বলা হয়েছে, ‘শফিক রেহমান এবং মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে এম আর ভুঁইয়া ওরফে মিল্টন ভূইয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিকিউটর, (অ্যাক্ট নম্বর, ভি অব ১৮৯৮)-এর ধারা ৪০১(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২, ঢাকার পল্টন মডেল থানার মামলা নং-০১ (০৮)২০১৫, জিআর মামলা নং-২৯৪/১৫-এ তাদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ বিজ্ঞ আদালতে আত্নসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।’
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।